মাস্তুল স্কুলে লাইট অব হোপ ও জেসিআই’র লাইব্রেরি স্থাপন
- Mastul Foundation |
- February 26, 2022
অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য তৈরি মাস্তুল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ ‘মাস্তুল স্কুল’। এ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের জন্য যৌথভাবে লাইব্রেরি স্থাপন করে দিচ্ছে লাইট অব হোপ ও জেসিআই ঢাকা ইন্ডিপেন্ডেন্ট। গতকাল (৯ ফেব্রুয়ারি) মাস্তুল ফাউন্ডেশনের হেড অফিসে এ বিষয়ে চুক্তি হয়। এই চুক্তির আওতায় মাস্তুল স্কুলের ছোট শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন শিক্ষামূলক বই দিচ্ছে ‘লাইট অব হোপ’। যার সার্বিক সহযোগিতায় আছে ‘জেসিআই ঢাকা ইন্ডিপেনডেন্ট’।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লাইট অব হোপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মুকুল আলম, জেসিআই ঢাকা ইন্ডিপেনডেন্টের স্থানীয় সভাপতি আশফাকুর রহমান, মাস্তুল ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক কাজী রিয়াজ রহমান প্রমুখ।
লাইট অব হোপ একটি শিক্ষা-প্রযুক্তি সংস্থা, যা চার থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের সৃজনশীলতা, নৈতিকা ও মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়। গত কয়েক বছরে ‘পড়ুয়া প্রজেক্ট’র আওতায় ইতোমধ্যে তারা ৫০০ স্কুলে লাইব্রেরি স্থাপন করেছে। জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী তরুণ পেশাজীবী ও নেতৃত্বস্থানীয়দের নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, যার একটি স্থানীয় অধ্যায় জেসিআই ঢাকা ইন্ডিপেন্ডেন্টের।
এসডিজি-৪ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শুরু থেকেই অধ্যায়টি বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন রকম কার্যকলাপের আয়োজন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই অংশীদারিত্বের সূচনা করছে জেসিআই ঢাকা ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক কাজী রিয়াজ রহমান বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের জন্য ভীষণ আশাব্যঞ্জক। সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের সচেতনতামূলক কাজে এগিয়ে আসা আমাদের কার্যক্রম আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, মাস্তুল ফাউন্ডেশনের যাত্রা ২০১২ সালের ১৯ অক্টোবর। শুরুর দিকে শুধু পথশিশুদের নিয়ে কাজ করছে সংগঠনটি। বর্তমানে তাদের ২২টি স্কুলে ১ হাজার ১০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। সুবিধাবঞ্চিত গরিব শিক্ষার্থীদের স্কুলব্যাগ, জুতা, মোজা, বই ও খাতাসহ শিক্ষা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করছে তারা। পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পুষ্টিকর খাবার, শিশু অধিকার, মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা দিতে কাজ করছে এই ফাউন্ডেশন।
এর বাইরে জাকাত ফান্ডের সাহায্যে স্বাবলম্বী প্রজেক্টের মাধ্যমে ৬৫০ জনকে স্বাবলম্বী করে তোলা হয়েছে। মাস্তুল ফাউন্ডেশন থেকে মৃত ব্যক্তিদের জানাজা দাফন-কাফন কার্যক্রম ও সৎকার করা হয়। করোনাকালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৭১০ জনকে বিনামূল্যে অক্সিজেন ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা এবং ১ হাজার ১৬০ জনকে দাফনসেবা প্রদান করেছে মাস্তুল।