শিশুমেলা সারাবেলা
- Mastul Foundation |
- January 10, 2022
শিশুমেলা সারাবেলা – চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
শিশুদের জন্য আকর্ষনীয় বিষয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। প্রতিটি শিশু নিজের ভাবনার স্বতঃস্ফুর্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটায় রঙ তুলির আঁচরে। মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্রচেষ্টা – ‘শিশুমেলা সারাবেলা’র অন্যতম আয়োজন শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।বয়সভেদে তিনটি বিভাগে এই আয়োজনে অংশ নেবে শিশুরা। দেশ, প্রকৃতি ও পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন ভাবনা নিয়ে নিজেদের ক্যানভাস সাজাবে শিশুরা। যার মাধ্যমে তারা হয়ে উঠবে সৃষ্টিশীল ও সাবলীল। আপনিও আসুন আপনার সন্তান কে নিয়ে আগামী ২৯শে জানুয়ারী ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে ।
থাকবে নাগরদোলা করবো মজা
আমাদের দেশের গ্রাম বাংলার অন্যতম ঐতিহ্য নাগরদোলা। শহরে জীবন যাপনের উৎসবে নাগরদোলা এক অন্যতম মাত্রা যুক্ত করে বারবারই। শিশুদের জন্য আনন্দদায়ক এই নাগর দোলা ‘শিশুমেলা সারাবেলা’র বিশেষ আকর্ষন। বর্ন বৈষম্য ভুলবার এক চমৎকার মাধ্যম এই নাগরদোলা। নাগরদোলায় সমাজের বিভিন্ন শ্রেনীর শিশুদের হাসির ঝংকারে পরিপুর্ন হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গন।
বায়োস্কোপ
বায়োস্কোপ একটি বাক্স, যার বাইরে দিয়ে মুড়ির টিনের মতো একাধিক খুপড়ি বা একটি জানালার মতো জায়গা, যেখানে চোখ লাগিয়ে দেখতে হয়। চোখ মেললেই বাক্সের ভিতর দেখা যায় অনেক ঘটনাবহুল রঙিন ছবি, যা দর্শকপ্রাণে শিহরণ জাগায়। এক সময় শিশুদের চিত্ত বিনোদনের আধুনিক মাধ্যম ছিল এটি। হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহ্য ফেরত আনতে ‘শিশুমেলা সারাবেলা’র আয়োজন সারাদিন ব্যাপী চলতে থাকে বায়োস্কোপ। শিশুদের নিজ দেশীয় সংস্কৃতিকে জানাতে অসাধারন ভূমিকা পালন করে এই বায়োস্কোপ।
সিসিমপুর পাপেট শো
সিসিমপুর হচ্ছে শিশুদের জন্য টেলিভিশন অনুষ্ঠান সেসামি স্ট্রিট-এর বাংলাদেশি সংস্করণ। গবেষণা বলে, যেসব শিশু সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি নিয়মিত দেখে, ভাষা, বর্ণ, গণিত ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিষয়ে তারা বেশি দক্ষতা প্রদর্শন করে থাকে। তাই আমাদের শিশুদের বিনোদন এবং জ্ঞানের খোড়াক মেটাতে আমাদের ‘শিশুমেলা সারাবেলা’র আয়োজনে উপস্থিত থাকে সিসিমপুর পাপেট শো এর দল। মজার মজার গল্পে শিশুদের নির্ভরযোগ্য বন্ধু হালুম কিংবা টুকটুকি।
সাংস্কৃতিক আয়োজনঃ
শিশুমেলা সারাবেলা সমাজের সুবিধা বঞ্চিত এবং সুবিধা অর্জিত সকল শিশুদের মিলন মেলা। আমাদের প্রয়াস এক আকাশের নিচে সকল শ্রেনীর শিশুদের মাঝে একই শিক্ষা এবং বিনোদনের সেতু বন্ধন করা। তাই আমাদের অনুষ্ঠানের মূল অংশ জুড়ে থাকে সাংস্কৃতিক আয়োজন। শিশুদের অংশগ্রহনে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি কিংবা অভিনয়ের মাধ্যমে সারা দিনের সময়গুলো হয়ে উঠে হাস্যউজ্জ্বল ও আনন্দমুখর।